যে জন্য বিপিএম সেবা পদক পেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনা পুলিশ সুপার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স-এ পুলিশ সপ্তাহ ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম কে প্রশংসনীয় অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক-সেবা (বিপিএম) ২০১৭ সম্মান সূচক ব্যাচ পরিয়ে দেন। এর আগে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট পুলিশ ম্যাডেল (পিপিএ) এবং ২০১২ ও ২০১৬ সালে দু দুবার অর্জন করেন আইজি ব্যাচ।

২০১৪ সালের ১৫ই জুন বরগুনার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন বিজয় বসাক। বরগুনায় যোগদানের পর থেকে নানামুখি উন্নয়নের প্রচেষ্টা ও জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি হতেআগস্ট পর্যন্ত পাঁচবার বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হন তিনি। যে সব প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক-সেবা (বিপিএম) পদক পেলেন বিজয় বসাক পিপিএম।

জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন: অত্র জেলায় যোগদান পরবর্তী নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা প্রতিরোধ একং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির লকেষ পুলিশ সুপার কার্য়লয়ের নিচতলায় নারী সহায়তা কেন্দ্র “জাগরণী” স্থাপন করেন। জাগরণী নারী সহায়তার কেন্দ্রের ভূমিকায় নারী নির্য়তন সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা দিনের পর দিন হ্রাস পাচ্ছে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ১২ই নভেম্বর থেকে এ অবধি জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩৭টি পারিবারিক নির্যাতন ১১টি, যৌতুক ১৯টি, ইভটিজিং ২২টি, বাল্যবিবাহসহ প্রায় তিনশতাধিক কার্যকারী সমাধান করা হয়েছে।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ চৌকিদার,দফাদারদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ: বরগুনা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের গমনপূর্বক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার প্রায় ৩৫,০০০ (পঁয়ত্রিশ হাজার) ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করেন।

পুলিশ লাইভ ব্লাড ব্যাংক স্থাপন: জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আসা দরিদ্র পরিবারের রোগীদের জরুরি রক্তির প্রয়োজনে পুলিশ সুপার, বরগুনা পুলিশ লাইভ ব্লাড ব্যাংক স্থাপন করেন। দরিদ্র মুমুর্ষ রোগীদের জন্য এ পর্যন্ত তিন শতাধিক ব্যাগ রক্ত সরবারাহ করে।

মুক্তি স্টোর: চরম রক্তশূন্যতায় ভূগে চার সন্তানের জননী মাকসুদা বেগম যখন মৃতপ্রায় ঠিক তখন অভাব অনাটন আর পাওনা টাকার ভারে দিশেহারা হয়ে মাকসুদাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী। ঠিক এ সময় মাকসুদার পাশে দাড়ায় বরগুনা জেলা পুলিশ। স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় জীবিকার জন্য স্থানীয় পুলে হাটবাজারে “মুক্তি স্টোর” একটি মুদি দোকান স্থাপন করে দেওয়া হয়।

স্বাধীন স্টোর: পুলিশ সুপার বরগুনা যোগদানের পর তিনি পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপধন গ্রামের দরিদ্র জেলেবধূ সুরমার বিষয়ে কালের কন্ঠ পত্রিকায় “অভাগিনী সুরমা” শিরোনামে একটি প্রতিবেধন দেখেন। তাঁর স্বামী বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের গুলিতে নিহত হন। তাঁকে রুপধন বাজারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি দোকানঘর তৈরি করে দেন,যার নাম দেওয়া হয় “স্বাধীন স্টোর”।

যে মুখে ডাকি “মা” সে মুখে মাদককে বলি “না”:

সমাজ থেকে মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধ এবং মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান নিয়ে পুলিশ সুপার, বরগুনার স্বরচিত একটি স্লোগান – যে মুখে ডাকি “মা” সে মুখে মাদককে বলি “না”। এ স্লোগানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিল্পিদের সুরে রচনা করা হয়েছে একটি সংগীত।

এছাড়া “জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই এক সাথে” এ স্লোগানে বরগুনার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় জঙ্গিবাদ,মাদক ও ইভটিজিংসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ডের তার নেতৃত্ব নিরবিচ্ছন্নভাবে প্রচার ও প্রচারণ্ধাসঢ়; এবং বরগুনা জেলার প্রতিটি থানায় যে মুখে ডাকি “মা” সে মুখে মাদককে বলি “না” স্লোগান সংবলিত ৫০ হাজার লিফলেট ও স্টিকার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও মসজিদে বিতরণ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর